প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর এরূপ শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা তাদের স্বীয় অর্জিত জ্ঞানের তাগিদে কখনো কখনো শিক্ষার আলোকে সর্বসাধারণের দূর্গরায় পৌছানোরলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। অনুরূপ ভাবে একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ, সু-গভীর জ্ঞানের অধিকারী ও বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিত্ব মরহুম মোঃ জিয়ারত উল্যাহ খান এবং সমাজ হিতৈষী ও সমাজ সেবক এবং সু-চিন্তিত ব্যক্তিত্ব জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান (বাচ্চু) এর সু-দৃঢ় প্রত্যয় ও নিরলস প্রচেষ্টা এবং এলাকাবাসির সার্বিক সহযোগিতায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিশেষকরে নারীদের দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সু-নাগরিক করে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে টাঙ্গাইল জেলার অর্ন্তগত বাসাইল উপজেলাধীন কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের দক্ষিন পাড়ায় প্রাকৃতিক ও সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপিঠ হিসেবে ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছেন কাঞ্চনপুর বালিকা দাখিল মাদরাসা । সঠিক ধর্মীয় জ্ঞান ও নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে ২০০২ সালে সরকারী ভাবে মাদরাসাটি এমপিও ভূক্ত হয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক/ইবতেদায়ী স্তরসহ দাখিল স্তর পর্যন্ত গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাহিদা পূরণে সক্ষম। মহান আল্লাহতায়ালা প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসেবে কবুল করে নিন। আমিন !!!

সভাপতির বাণী

image-not-found

১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কাঞ্চনপুর বালিকা দাখিল মাদরাসার ধারাবহিক সাফল্য, এলাকাবাসীর আকাঙ্খা ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এবং সকলের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি জনসাধারণের অন্তরে স্থান করে নিয়েছে এবং দিন দিন বৃব্ধিপাচ্ছে এর কদর । প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বাসাইল উপজেলার অন্যতম ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। মান সম্পন্ন শিক্ষা অর্জনে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি সকলের মাঝে স্থান করে নিয়েছে। নিঃসন্ধেহে ইহা পরিচালকবৃন্দ, তত্বাবধায়ক, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও সর্বোপরি এলাকাবাসির সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরণের চাহিদার সৃস্টি হওয়ায় তাঁরা তাদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের অত্র প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাবকগনের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সকল কিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকদের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সমন্বয় সাধন। সর্বাত্বক প্রচেষ্টা সাধনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। সুতরাং এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন। আমিন !!!

সুপারের বাণী

image-not-found

সকল প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহ সুব্হানাহু ওয়া তা’য়ালার জন্য। যিনি আমাদেরকে ঐশি জ্ঞানের মারকাযে কিছু খেদমত করার সুযোগ দিয়েছেন। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক মানবতার মুক্তির অগ্রদূত মহান শিক্ষক হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি। সেই সাথে তাঁর সকল আহাল/পরিবারবর্গ ও সাহাবাগণসহ সকল মুমিন-মুসলিম মৃত ভাই-বোনদের আত্বার মাগফিরাত ও জীবিতদের নেক হায়াত কামনা করছি। আরও মাগফিরাত কামনা করছি যারা অত্র মাদ্রাসার শুভসূচনা করে বিভিন্ন সময়ে পরপারের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। কাঞ্চনপুর বালিকা দাখিল মাদ্রাসা একটি আদর্শ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে ইসলাম ও ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার বাস্তব সমন্বয়ে সরকারি কারিকুলাম অর্ন্তভুক্ত ও চলমান রেয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। আদর্শ জাতি গঠণের জন্য প্রয়োজন একজন আদর্শ মা, সচেতন ও সু-দক্ষ নাগরিক। তাই এ দেশের নারী সমাজকে দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে একজন আদর্শ মা, সু-দক্ষ, ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাঞ্চনপুর বালিকা দাখিল মাদ্রাসা এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে।এজন্য সেই সকল মনীষীদের জানাই অভিনন্দন, যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতার মাধ্যমে সর্বজনের নিকট আজ প্রতিষ্ঠানটি নন্দিত। আরও অভিনন্দন জানাচ্ছি ঐ সকল অভিভাবকদের, যারা প্রজাপতিরমত একজাঁক কোমলমতি সন্তানদের অত্র প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিতে দৈনন্দিন শিক্ষা আহরণে সর্ম্পৃক্তরেখে প্রতিষ্ঠানকে করেছেন শুভাবর্ধন এবং বুনে গিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের একজন অন্যতম ডোনার বা দাতা। অভিনন্দন সম্মানিত ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি, তাদের শৃজনশীল মেধা ও স্ব-স্ব দায়িত্ব এবং কর্মের প্রতিফলন ঘটিয়ে রেখে যাচ্ছেন নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্মের স্বাক্ষর। পরিশেষে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ এবং কামনা করি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নের জন্য দো’য়া ও সু-দৃষ্টি। মহান আল্লাহ সুব্হানাহু ওয়া তা’য়ালা আমাদের সকলের প্রচেষ্টাকে সাদকায়ে জারিয়া হিসেবে কবুল করুন। আমিন!!!